সর্বশেষ :

জরুরী নাম্বার সমূহ :

ব্রেকিং নিউজ :

যত ক্ষুদ্রই হোক, কোনো গোষ্ঠীকে বাদ রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন সম্ভব নয়: এড. ছিদ্দিক উল্যাহ


Songbad Times প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৮, ২০২৫, ৭:৫২ অপরাহ্ন /
যত ক্ষুদ্রই হোক, কোনো গোষ্ঠীকে বাদ রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন সম্ভব নয়: এড. ছিদ্দিক উল্যাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক॥বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেছেন, “রাষ্ট্রব্যবস্থায় কোনো গোষ্ঠী বা অংশকে বাদ রেখে প্রশাসন পরিচালনা করা যায় না। যত ক্ষুদ্রই হোক, কোনো জাতি বা সম্প্রদায়কে বাদ দিলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন সম্ভব নয়।”

শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত “প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ন্যায্য কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয়তা” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এডভোকেট ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া বলেন, “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সমাজের বোঝা নয়, বরং তারা রাষ্ট্রের সম্পদ। সুযোগ ও সহায়তা পেলে তারাও দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তাই রাষ্ট্রের উচিত তাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো।”

তিনি আরও বলেন, “আমি আইন পেশায় আসার পর থেকেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নাগরিক অধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। সংবিধান, প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন ও জাতিসংঘের কনভেনশনে এ জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষার কথা বলা হলেও বাস্তবে রাষ্ট্র এখনও তা পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেনি।”

২৮৫ জন প্রতিবন্ধী সহকারী শিক্ষক প্রার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের নিয়োগসংক্রান্ত মামলা বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আদালতের রায় আপনাদের পক্ষেই আসবে বলে আমি আশাবাদী।”

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ২০২০ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় তাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হলেও পরবর্তীতে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হন। হাইকোর্ট তাঁদের পক্ষে রায় দিলেও বিষয়টি বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, “আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কোনো চাপ প্রয়োগ নয়, বরং আমরা সমাজ গঠনে অংশগ্রহণের ন্যায্য সুযোগ চাই। প্রতিবন্ধিতা কোনো অক্ষমতা নয়; বরং সুযোগের অভাবই অক্ষমতা সৃষ্টি করে। করুণা নয়, সমান সুযোগ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মপরিবেশই রাষ্ট্রের মানবিক দায়িত্ব।”

সভায় আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষক, অভিভাবক ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসটি/এম