সর্বশেষ :

জরুরী নাম্বার সমূহ :

ব্রেকিং নিউজ :

চরফ্যাশনের সিকদার চরে অসহায় কৃষকের পাকাধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ


Songbad Times প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৮, ২০২৫, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন /
চরফ্যাশনের সিকদার চরে অসহায় কৃষকের পাকাধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ

নাহিদুল ইসলাম নাঈম,চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি॥বাংলায় একটি প্রবাদ আছে— “জোর যার, মুল্লুক তার।” এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে ভোলার চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সিকদার চরে। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, তাদের কষ্টার্জিত পাকাধান জোরপূর্বক কেটে নিচ্ছে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ ‘রমিজ বাহিনী’। ধান কাটতে বাধা দিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল হামলা চালায়।

অসহায় কৃষক ইউসুফ সিকদার, সুমন সরদার, সোলায়মান, শাহিন, সজিব, মিজান হাওলাদারসহ অন্তত শতাধিক কৃষক জানান, গত বুধবার রাতে চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রমিজ বাহিনী ধান কাটার মেশিন নিয়ে প্রায় ২০ থেকে ২৫ একর জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়।
পরদিন বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীরা গেলে তাদের সামনেই আবারও কৃষকদের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে চাষিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

লুটপাটকারীদের রোষানল থেকে রক্ষা পেতে গতকাল শুক্রবার (৭নভেম্বর) ভোলা-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সরণাপন্ন হন। শতাধিক কৃষক বলেন, নয়ন ভাই বলছেন, “সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কোনো আস্তানা বিএনপির দলে থাকবে না। এ ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, নজরুলনগর ইউনিয়নের রমিজ তালুকদার প্রায়ই বাহিনী নিয়ে বিচ্ছিন্নদ্বীপ মজিবনগর (সিকদার চর) এলাকায় গিয়ে পাকা ফসল জোরপূর্বক কেটে নেয়। তারা বলেন, “তরমুজ বা ধান যখন ছোট থাকে তখন কিছু বলে না, কিন্তু ফসল পাকা শুরু হলেই টাকা দাবি করে; না দিলে ফসল লুট করে নিয়ে যায়।”

৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জুয়েল জানান, “ধানের মাথা লাল হলেই রমিজ তালুকদারসহ একটি চক্র ফসল লুটে নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এতে সাধারণ কৃষকরা ভয়ে থাকে।”

এ বিষয়ে কৃষক সুমন সরদার বলেন, “ধান চাষের সময় কিছু বলে না, কিন্তু পাকার সময় চাঁদা দাবি করে ও জমিতে হামলা চালায়। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”

অভিযুক্ত রমিজ তালুকদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “চরে আমাদেরও জমি আছে, আমরা আমাদের ধান কেটেছি।”

এদিকে দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফ ইফতেখার বলেন, “সিকদার চরে ধান কাটাকাটির বিষয়টি শুনেছি। উভয় পক্ষকে জমির কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।”

অসহায় কৃষকরা বলেন, প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ না হলে সিকদার চরের চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে এবং তারা আরও বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন।

এসটি/এম