ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুর গ্রামটি অবহেলিত ও অনুন্নত গ্রামগুলোর একটি। দীর্ঘ ১৭ বছরেও এ গ্রামে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার করুণ দশা ও জলাবদ্ধতার কারণে বছরের অর্ধেক সময় গ্রামবাসী চরম দুর্ভোগে থাকেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতপুর চার্চ অব বাংলাদেশ কলোনী সংলগ্ন এলাকা থেকে পশ্চিমে মালেক হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১২শ ফুট এবং দক্ষিণে বেড়িবাঁধ থেকে উত্তরে জলিল মেম্বার বাড়ির সংলগ্ন সড়ক পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা বর্ষার পানিতে ডুবে কাদামাটিতে পরিণত হয়েছে। এতে রাস্তাগুলো প্রায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চার্চ অব বাংলাদেশ কলোনীতে হাঁটু সমান পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র জলাবদ্ধতার। কোনো বিকল্প পথ না থাকায় প্রতিদিন পানির মধ্য দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. বেলায়েত মাঝি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “চরফ্যাশনের অন্যসব এলাকায় উন্নয়ন হলেও দৌলতপুরে ১৭ বছরেও কোনো কাজ হয়নি। প্রতি বছর বর্ষায় আমরা পানিবন্দি থাকি, ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট সব পানিতে ডুবে যায়। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই।”
মৃত নসু মাঝির স্ত্রী কহিনুর বেগম বলেন, “আমাদের দুর্ভোগ বর্ণনা দিয়ে বোঝানো যাবে না, চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। প্রতিদিন হাঁটু কাদা মাড়িয়ে চলাফেরা করতে হয়। বারবার জনপ্রতিনিধিদের জানিয়েও কোনো ফল পাইনি। সরকারের কাছে একটাই দাবি—এলাকার রাস্তা সংস্কার ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হোক।”
অন্যদিকে মো. কামাল হোসেন জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যায়। এতে শিশু-কিশোরদের স্কুলে যাতায়াতও কঠিন হয়ে পড়ে। নির্বাচনের সময় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচিত হওয়ার পর জনপ্রতিনিধিরা আর খোঁজ নেন না।
এ বিষয়ে চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমাদুল হোসেন বলেন, “বিষয়টি অবগত হলাম। গ্রামবাসী লিখিত অভিযোগ দিলে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
এসটি/এম
আপনার মতামত লিখুন :