জরুরী নাম্বার সমূহ :

ভোলায় বিনিয়োগ করুন, আত্মনির্ভরশীল হউন


admin প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১১, ২০২৫, ৮:০৮ অপরাহ্ন /
ভোলায় বিনিয়োগ করুন, আত্মনির্ভরশীল হউন

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্ববাসীর কাছে এক মডেল জেলা হতে পারে দ্বীপ জেলা ভোলা যা আয়তনের দিক থেকে পাঁচটি সিংগাপুরের সমান অথবা এগারটি মালদ্বীপের সমান। এক সময়ের “জেলে পল্লী” খ্যাত সিংগাপুর যদি বিশ্বের শীর্ষ ধনী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ কেন পারবেনা ? এই জন্য বাংলাদেশ কে কিছু টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। সরকার পরিবর্তন হবে কিন্তু পরিকল্পনার লক্ষ্যে না পৌছানো পর্যন্ত তা বাতিল করা যাবে না। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলারই কিছু বিশেষত্ব আছে যাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে একটি রপ্তানিকারক দেশে পরিণত করা যায়।এই জন্য প্রথমেই ভোলাকে টার্গেট করা যায়। কী নেই ভোলাতে ! ওয়ান স্টপ সার্ভিস দিতে যা প্রয়োজন সবই আছে প্রাকৃতিক গ্যাসে ভরপুর দ্বীপের রানী ভোলাতে। ইলিশ মাছের শশুর বাড়ি, মহিষের দই, পান-সুপারি, প্রাকৃতিক গ্যাস, পর্যটনের লীলাভূমি, ধান, ভুট্টা, তেলফসল, ফলমূল আবাদের সম্ভাবনা, পেঁয়াজে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা নয়, রপ্তানি ও করা যাবে ভোলার মাটিতে বিজ্ঞান ভিত্তিক চাষ করার মাধ্যমে।


আরও পড়ুন:

প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি
প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি

কৃষি : ভোলার লবণাক্ত জমিতে চাষ হচ্ছে ব্রি ধান ৬৭, বিনা ধান ১০, ভুট্টা, সয়াবিন, সূর্যমূখী, শসার আবাদ দিন দিন বাড়ছে। পেঁয়াজ, বার্লি, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন সবজি ফসল চাষ খুবই সম্ভাবনাময়। ভোলায় বারি উদ্ভাবিত বারি-৪ পেঁয়াজের ফলন ভাল এবং সুস্বাদু। প্রতি বছর ৮-১০ লাখ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশকে আমদানী করতে হয় যা পরিকল্পিতভাবে ভাবে ভোলায় উৎপাদন করা সম্ভব। প্রথমত, জমি চাষের জন্য খাল খুবই দরকার। অতিরিক্ত পানি হলে খাল দিয়ে অপসারণ করা যাবে এবং পানির দরকার হলে ঐ খাল থেকেই পানি নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। মরা বা মুমূর্ষু খালগুলোকে জীবিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য সহকারি কমিশনার (ভূমি) গণ প্রতিটি উপজেলায় ইনভেস্টিগেশন করে যে খালগুলো ব্যক্তি মালিকানায় বাঁধ নির্মাণ করে মাছের চাষ হচ্ছে, অথবা যে খালে পানি চলাচল নেই, সে খালগুলোকে সরকারি উদ্দোগে পুনর্জীবিত করতে হবে। কৃষি গবেষকদের কে কাজে লাগাতে হবে এবং কৃষকদেরকে ভর্তুকি দিতে হবে। কৃষকদের কাজে কৃষি অফিসারদেরকে সময় দিতে হবে। পুরো কাজে সরকারের তদারকির ব্যবস্থা রাখতে হবে। যে কৃষক বেশি ফসল উৎপাদন করবে, তাঁকে জাতীয় পুরস্কারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কোন একটি বিলের মালিকগণ যৌথ ভাবে ‘যৌথ কৃষি পরিকল্পনা’ করতে পারে যেখানে প্রত্যেক জমির মালিক জমি চাষের খরচ দিবে (শতাংশ হিসেবে), শ্রম দিবে, অথবা যারা শ্রম দিবে তারা পারিশ্রমিক পাবে, সবার খরচে একটি পাওয়ার টিলার, জমি চাষের অন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি, সার, বীজ ক্রয় করবে।

ফসল উৎপাদনের পর তা একটি মালবাহী ট্রাক (প্রত্যেকের খরচে ক্রয় হবে) দিয়ে কারওয়ান বাজার বা স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করবে। লভ্যাংশ্য সবাই শতাংশ হিসেবে পাবে। যার যত শতাংশ জমি সে সেই হারে লাভ পাবে এবং ক্ষতি হলে ও একই হারে হবে। সরকার যন্ত্রাংশ, বীজ, সার দিয়ে সাহায্য করতে পারে এবং নিজ দেশের পণ্য সর্বোচ্চ ব্যবহারের বাজার তৈরিতে উৎসাহ সৃষ্টি করতে পারে।একই ধরণের বিদেশি পণ্যে শুল্ক কর বৃদ্ধি করতে পারে এবং দেশীয় পণ্যে খাজনা বা কর লোপ করতে পারে। কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও কৃষককে লাভবান করা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। কৃষকগণ সরাসরি কাওরান বাজারে পণ্য বিক্রি করতে পারবেনা, কাউকে না কাউকে মাঝখানে দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগী যাতে কৃষক এবং ভোক্তাকে শোষণ ও ঠকাতে না পারে, তা ভোক্তা অফিসার দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। মুনাফাখোর, পাইকার-আড়ৎদার, মধ্যস্বত্বভোগী, সামাজিক সমস্যা, চাঁদাবাজি সরকারকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। তাহলে দেশে খাদ্যের দাম জনগণের নাগালে চলে আসবে। খাদ্য ঠিক থাকলে, বাকী বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করা সম্ভব।

বিনিয়োগ আকর্ষণ :
বাণিজ্য-কৌশলগত দিক দিয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে ভোলা। ভোলা হতে পারে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। ভোলায় নদীকে কাজে লাগিয়ে সমুদ্র বন্দর, গভীর সমুদ্র বন্দর, আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর যা অর্ধেক হবে সমুদ্রে আর অর্ধেক হবে স্থলে এবং এই বিমান বন্দর পৃথিবীবাসীর কাছে পর্যটন শিল্পের গন্তব্যস্থল হবে। এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলোর হাব। মানসম্মত কটেজ তৈরি করে পর্যটকদের আড্ডার স্থান তৈরি করা সম্ভব যেখানে রয়েছে মনপুরা এবং চর কুকরি-মুকরির মতো ম্যানগ্রোভ বন। রয়েছে সুন্দর বনের প্লেবার। যে চরগুলোর চারিপাশে রয়েছে জলাশয় ;সেখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত একই সাথে উপভোগ করা সম্ভব। ভোলার চারিদিকে বিভিন্ন জাতের গাছ, বিশেষ করে রাবার গাছ লাগানো যায়। ভোলার চারিপাশে একটি বৃত্তাকার রাস্তা হবে যেখানে পথচারী এবং পর্যটকেরা নির্ভয়ে হাঁটতে পারবে, ব্যায়াম করবে। জাপানীদের রাস্তার মত। কোন বড় বাস সেই রাস্তায় প্রবেশ করবেনা। ভোলার মধ্যখানে বড় রাস্তায় বাস চলাচল করবে। মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হবে। নদী, আকাশ এবং স্থল কে কাজে লাগাতে হবে। নদী বন্দরকে সামনে রেখে শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠবে। গাজীপুর যদি একটি কারখানায় ১ হাজার শ্রমিক কাজ করে যেখানে শ্রমিককে গড়ে ১৫ হাজার টাকায় খাটানো হয়; ভোলায় সেখানে গড়ে ১০ হাজার টাকায় খাটানো সম্ভব। কারণ গাজীপুরে বাসা ভাড়া বেশি কিন্তু ভোলাতে নিজের বাসায় থেকে এসে কাজ করা সম্ভব।

যারা বিনিয়োগ করতে চান, তাঁরা ভেবে দেখুন। ভোলাতে যেহেতু গ্যাস আছে, সেহেতু গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থ্যা গাজীপুর থেকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর পৌছাতে যে অর্থ ব্যয় হয় তার চেয়ে কয়েকগুণ কম ব্যয় হবে ভোলা থেকে চট্টগ্রামে। কারণ ব্রিটিশ আমল থেকে অদ্য পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জাহাজে পণ্য আনা-নেয়া হয় ভোলার শাহবাজপুর চ্যানেল ব্যবহার করে।ভোলার চরাঞ্চলে গরু এবং মহিষের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ডেইরি ফার্ম স্থাপন করা যায়। ট্যানারি স্থাপন করে জুতার কারখানা করা যায়। চরে রেশম এর চাষ করা যায়। চরে তুলা উৎপাদন করে সেখানে তুলা থেকে সুতা উৎপাদনের মিল কল-কারখানা স্থাপন করে, সেই সুতা দিয়ে কাপড় তৈরির কারখানা তৈরি করা সম্ভব। তখন আর অন্য রাষ্ট্র থেকে সুতা আমদানী করার প্রয়োজন হবে না।মনে রাখা দরকার পৃথিবীর পরারাষ্ট্রগুলোর পরামর্শে একদা পৃথিবীর সোনালি আঁশের দেশ খ্যাত বাংলাদেশ তার সোনালি অতীত হারিয়ে ফেলেছে আদমজি জুট মিল বন্ধ করে। আদমজি জুটমিল বন্ধ হওয়াতে লাভবান হয়েছে সেই রাষ্ট্রগুলো যারা তুলা উৎপাদনে শীর্ষে রয়েছে। গবেষণায় দেখা যায় বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি সুতা আমদানী করে পৃথিবীর অন্যতম পরারাষ্ট্র থেকে। কিন্তু বাংলাদেশ যদি ভোলাকে টার্গেট করে তুলা উৎপাদন করে সুতা উৎপাদন করতে চায়, তাহলে বাংলাদেশকে অন্য রাষ্ট্র থেকে তা আমদানী করা লাগবেনা। ভোলার ব্লু ইকোনোমি কে কাজে লাগানো যায়। চিংড়ি, কাঁকড়া উৎপাদন করা যায়। ভোলার বাগদা এবং গলদা চিংড়ির রেণু নিয়ে খুলনা, বাগেরহাটে চাষ করা হয়। অথচ তা ভোলাতে ও সম্ভব এবং কম খরচেই সম্ভব। ভোলা হতে পারে মৎস্য চাষের মুক্তজলাশয়। হাঁস-মুরগির খামার করে হাঁস-মুরগি উৎপাদন এবং ডিম উৎপাদন করে বাংলাদেশের অন্য জেলাগুলোতে তা রপ্তানি করা যায়। সার কারখানা, জাহাজ নির্মাণ শিল্প কারখানা ভোলার চতুর্পাশে করা সম্ভব। প্রয়োজনে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী গভীর করে নদীর গতিপথ নির্ণয় করা যায়।

স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ : মানুষের মন এবং দেহের উপর পরিবেশ বেশ প্রভাব ফেলে। এদিক থেকে ভোলার পরিবেশ বেশ মডারেট, নাতিশীতোষ্ণ। এক পোশাকে এক সপ্তাহও অফিস করা সম্ভব ভোলার অফিসগুলোতে। কারণ এখানে দেহে ঘাম তেমন দেয়না বললে চলে পরিবেশের কারণে। এমন একটা পরিবেশে যদি একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল থাকে তাহলে মানুষ আর ভারতের ভেলর সিএমএইচে স্বাস্থ্যসেবা নিতে যাবে না। এখন প্রশ্ন হলো এখানে আন্তর্জাতিক মানের ডাক্তার কোথায় পাবো ? এ জন্য সরকারকে ‘উদার শিক্ষা নীতি’ গ্রহণ করতে হবে। এ নীতি বাস্তবায়নের জন্য সরকার সারা বাংলাদেশ থেকে মেধাবী শিক্ষার্থী নির্বাচিত করে পৃথিবীর সেরা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশুনা করিয়ে, ট্রেনিং নিয়ে তারা এই হাসপাতালে সেবা দিবে।

বিদেশ থেকে পড়াশুনা করার পর নূন্যতম ৫ বছর বাংলাদেশে চাকুরি করতে বাধ্য থাকবে। অন্যথায় তাঁকে শাস্তির আওতায় রাখতে হবে। সিংগাপুর ঠিক এই ‘উদার শিক্ষা নীতি’ গ্রহণ করেছে। এ জন্য ভোলার সাথে অন্য জেলা এবং রাষ্ট্রের সাথে সুন্দর ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থ্যা স্থাপন করতে হবে। নৌব্যবস্থা বর্তমানে ভালোই আছে। তাকে আরো যুগোপযোগী করতে হবে। বরিশালের বড় বড় যে লঞ্চ গুলো পদ্মা সেতু হওয়াতে বন্ধ হওয়ার উপক্রম সেগুলো ভোলা রুটে স্থানান্তর করা যেতে পারে। অতিদ্রুত আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর স্থাপন করতে হবে। ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।ভোলা থেকে চট্টগ্রাম রুটে আমদানি-রপ্তানিকারক জাহাজ চলাফেরা নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষা : মেরিন একাডেমি স্থাপনের মাধ্যমে সমুদ্র বিজ্ঞান এর উপর জোর দিতে হবে। জেলায় কৃষি বিশ্বিবিদ্যালয় স্থাপন করে কৃষির উপর গবেষণা ও কৃষির উৎপাদনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে বাধ্য করাতে হবে। কিছু সংখ্যক কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে হবে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কুটির শিল্প এবং অন্যান্য যুগোপযোগী শিল্পের উপর গবেষণা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। তারপর সেই শিক্ষকগণ কর্তৃক এই কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হাতে কলমে ৬ মাস ও ১ বছর মেয়াদী কোর্স পরিচালনা করতে হবে। নারীদেরকে বেশী পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত করে গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানায় নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। শিল্পকলার মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে কাজে লাগিয়ে পোশাক এর ডিজাইন করতে হবে। এখনো বাংলাদেশের নাগরিকগণ বাজারে গেলে নিজেদের রুচিসম্মত পোশাক কিনতে পারেন না।

তার কারণ যারা পোশাকের ডিজাইন করেন, তারা মানুষের মনে প্রবেশ করতে পারেন নি। এ জন্য নিজেদের চলচিত্র শিল্পকে কাজে লাগাতে হবে। নাট্যকাররা বাংলাদেশের সকল শ্রেণির নাগরিকের কথা চিন্তা করে তারা তাদের নাটক, মুভি নির্মাণ করবে। আর সেটা অনুসরণ করে শিল্পকলার শিক্ষার্থীগণ তাদের মেধা খাটিয়ে পোশাকের ডিজাইন করবে। স্থানীয় শিল্পের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় নাগরিকদেরকে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ট্রেনিংয়ের আওতায় এনে তাদের কর্মের ব্যবস্থা করবে সরকার। যারা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চায়, তারা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করবে। বাকীদেরকে কর্মমুখী শিক্ষায় জোড় দিতে হবে।

মাদকবিরোধী কঠোর আইন : ভোলাতে কোন ধরণের মাদককে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। কেউ কোন ধরণের মাদক এর সাথে যুক্ত থাকলে তাকে নূন্যতম ১০ বছরের জেল এবং সশ্রম কারাদ- অথবা এমন কি মৃত্যুদ-ও দেয়া যেতে পারে এমন আইন তৈরি করতে হবে। কারণ মাদক সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। যুবক সমাজকে দিয়েই সকল উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে। কিন্তু তারা যদি মাদকে আক্রান্ত হয়, তাহলে কোন পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ভোলা যেহেতু চতুর্দিকে জলাশয় দ্বারা আবদ্ধ, তাই এখানে যে কোন আইন তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। ভোলাই হোক বাংলাদেশের মডেল জেলা।

মো. জাহাঙ্গীর আলম
সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি)
৩৫ তম বিসিএস নন-ক্যাডার
দৌলতখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
দৌলতখান, ভোলা।
jahan.alam3451@gmail.com