ভোলার মনপুরায় কাঁকড়া শিকারের সময় বজ্রপাতে একজন শিকারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বজ্রপাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮টি গরু ও মহিষ মারা গেছে। এ ঘটনায় কৃষকরা আনুমানিক ৮ লাখ টাকার ক্ষতির দাবি করেছেন।
ঘটনাটি সোমবার বিকেলে মনপুরার কাজির চর, উত্তর সাকুচিয়া এবং হাজিরহাট ইউনিয়নে ঘটে। বজ্রপাত প্রায় আধাঘণ্টা ব্যাপী বজ্রঝড়ে ছড়িয়ে পড়ে। নিহত কাঁকড়া শিকারী জীবন দাস (৫০) চরকলাতলী এলাকার হিন্দু আবাসনের বাসিন্দা। তিনি কাজির চর এলাকায় কাঁকড়া শিকারের সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে চরকলাতলী এলাকায় নিয়ে আসেন।
অপরদিকে বজ্রপাতে উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ইয়াসিন ও জাকিরের দুটি গরু, হাজিরহাট ইউনিয়নের চরফৈজুদ্দিন গ্রামের জিয়া উদ্দিনের তিনটি গরু, চৌধুরী বাজার এলাকার শামসুদ্দিনের একটি মহিষ এবং কলাতলী ইউনিয়নের একটি মহিষ মারা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জিয়া উদ্দিন বলেন, “আমার তিনটি গরু গোয়াল ঘরে বেঁধে রেখেছিলাম। হঠাৎ করেই গোয়ালঘরের কাছে বজ্রপাত হয়। এতে তিনটি গরু মারা যায়। আমাদের প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।” তিনি আরও জানান, এই ভয়াবহ বজ্রপাতে অনেক শিশু আহত হয়েছে।
মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান কবির জানিয়েছেন, বজ্রপাতের কারণে একজন শিকারীর মৃত্যু ও গরু-মহিষের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে। মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফজলে রাব্বি বলেন, “বজ্রপাতের কারণে একজনের মৃত্যু এবং গরু-মহিষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।”
এসটি/এম
আপনার মতামত লিখুন :