
মো.দুলাল হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি :নানান জল্পনা–কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন পেলেন সাবেক এমপি শহীদুল আলম তালুকদার। তিনি ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাউফল থেকে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে তৃণমূল ও রাজনৈতিক মহলে তার মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নানা আলোচনা চললেও শেষ পর্যন্ত তার ওপরই আস্থা রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপি।
গতকাল ০৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন ঘোষনার পর মাগরিববাদ বাউফলস্থ নাজিরপুরে তার নিজস্ব বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তার সহধর্মিনী সালমা আলম লিলি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ তাই কেউ আনন্দমিছিলসহ কোন প্রকার উল্লাস করবেন না বরং নেত্রীর জন্য সকলকে দোয়া করার জন্য আহবান করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন,”দল আমাদের মনোনয়ন দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু আজ আমরা কোনো আনন্দ মিছিল বা মিষ্টি বিতরণ করবো না। আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তার এই অবস্থায় কারো আনন্দউল্লাস ভালোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সবাইকে অনুরোধ করছি—শান্তভাবে, দায়িত্বশীল আচরণ করে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।”
তার এই বক্তব্য উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে প্রশংসা কুড়ায়। সকলেই শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি আরও বলেন,“যারা এই আসনে মনোনয়নের প্রত্যাশা করেছিলেন—একে.এম. ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার, সহদপ্তর সম্পাদক মনির হোসেনসহ সকল নেতার প্রতি সম্মান জানাই। মনোনয়ন হয়তো আমরা পেয়েছি, কিন্তু আমরা সবাই বিএনপি পরিবারের সদস্য। বাউফলের উন্নয়ন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দলের বিজয়ের জন্য সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে।”
এছাড়াও তিনি জানান ,“এটা কোনো ব্যক্তিগত অর্জন নয়—এটা বাউফলের মানুষের দায়িত্ব আমাদের হাতে তুলে দেওয়া। আগামী দিনে আপনাদের সবার সহযোগিতা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়।”
নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উচ্ছ্বাস
মনোনয়ন ঘোষণার পর বাউফলের বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে সালমা আলমের নির্দেশনার পর আনন্দমিছিল বা উৎসব না করে সবাই স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখে।
তৃণমূল নেতারা বলছেন, দীর্ঘদিন পর বাউফলে বিএনপির রাজনীতি নতুন করে সংগঠিত হতে যাচ্ছে। সাবেক এমপি শহীদুল আলম তালুকদারের অভিজ্ঞতা ও গ্রহণযোগ্যতা মাঠের রাজনীতিতে নতুন গতি ফিরিয়ে আনবে বলে তারা আশা করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টি এখন বাউফলে
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পটুয়াখালী-২ আসনটি বরাবরই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনোনয়নকে ঘিরে যে উত্তাপ তৈরি হয়েছিল, তার অবসান ঘটায় মাঠের রাজনীতি আরও সক্রিয় হবে বলে মনে করছেন তারা।
দলীয় ঐক্য বজায় থাকলে এ আসনে বিএনপি শক্ত অবস্থানে থাকতে পারে। এমনটাই প্রত্যাশা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে।
এসটি/এম
আপনার মতামত লিখুন :