
লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:ভোলার লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হা-মীম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক ও অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন মাস্টারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে লালমোহন পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের ওয়েস্টার্ন পাড়া এলাকার মুন্সির হাওলা গ্রামের আবু সাইয়েদ হাওলাদার গংদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আবু সাইয়েদ হাওলাদার জানান, তার বড় ভাই মুজাম্মেল হক হাওলাদার ২০২৪ সালে গোপনে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে রুহুল আমিন মাস্টারের কাছে ২৫.৩৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। জমিটি দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওয়ারিশদের বসতভিটা, বাগান ও পুকুর এলাকার অংশ হিসেবে দখলে ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে তারা ভোলার যুগ্ম জেলা জজ-১ আদালতে অগ্রখরিদ মামলা (নং-১৮/২০২৪) দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় রুহুল আমিন মাস্টার তার অনুসারী ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উক্ত জমি জবরদখলের চেষ্টা করেন। এতে বাধা দিলে তিনি ভোলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪/১৪৫ ধারা জারির আবেদন করেন, যা বর্তমানে বলবৎ রয়েছে।
তবুও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে রুহুল আমিনের ছোট ভাই ফখরুল ইসলামসহ হা-মীম একাডেমির কয়েকজন শিক্ষক-স্টাফ ও কিছু শিক্ষার্থী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করেন আবু সাইয়েদ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই তারা পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
আবু সাইয়েদের দাবি, রুহুল আমিনের ক্রয়কৃত ৬৯ খতিয়ানভুক্ত জমি তাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশে এবং উত্তরের বিলে অবস্থিত। অথচ তিনি জোরপূর্বক তাদের বসতভিটা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল আমিনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাই ফখরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা আইনগতভাবে জমি ক্রয় করেছি এবং যথাযথভাবে দখলে আছি। আবু সাইয়েদের অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “উক্ত জমি নিয়ে আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারা চলমান আছে। তাই মামলাধীন অবস্থায় উভয় পক্ষের কারও সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করা আইনগতভাবে অপরাধ।”
এসটি/এম
আপনার মতামত লিখুন :